সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালগঞ্জে দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ ৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক

সড়কের জায়গায় উচ্ছেদ-দখলের খেলা

  • আপলোড সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৯:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৯:৫৮:২০ পূর্বাহ্ন
সড়কের জায়গায় উচ্ছেদ-দখলের খেলা
শহীদনূর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সুনামগঞ্জ অংশে চলছে উচ্ছেদ-দখলের খেলা। প্রতি বছর নিয়ম অনুযায়ী সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও কিছুদিনের মাথায় ফের দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথের মালিকানাধীন সড়কের দুইপাশের জায়গা। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, উচ্ছেদ পরবর্তী সংরক্ষণ ও দেখভাল না করার কারণে উচ্ছেদে কোনো লাভ হয় না বলে জানিয়েছেন সচেতন ব্যক্তিবর্গ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং দখলদারদের এমন চোর-পুলিশ খেলায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। গতানুগতিক ‘উচ্ছেদ অভিযান’ সরকারি টাকার অপচয় বলে মনে করছেন তারা। গেল ১৫ জানুয়ারি ঘটা করে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানপাট ও স্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ওয়েজখালি থেকে জাউয়াবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কিছু দিনের মাথায় ফের দখল হয়ে যাচ্ছে সড়কের জায়গা। সরেজমিনে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দিরাইর রাস্তা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, কিছুদিন পূর্বে যেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল সেই স্থানে নতুন করে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই বাঁশ, টিন দিয়ে দোকানপাট তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দখলকারী ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কের এমন উচ্ছেদ অভিযান প্রতি বছর হয়ে থাকে। যারা সড়কের উপর ব্যবসা করেন তাদের কাছে এটি স্বাভাবিক বিষয়। বছরে এক দুইবার উচ্ছেদ অভিযানের জন্য তৈরি থাকেন তারা। সড়কের পূর্ব পাশে নতুনভাবে দোকান তৈরি করতে দেখা যায় জহুর নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে। উচ্ছেদকৃত স্থানে দোকানঘর তৈরি ব্যাপারে জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, এই ব্যবসা দিয়ে আমাকে চলতে হয়। আমার আর কোনো উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে আবারও দোকান তৈরি করছি। সড়কের উত্তর পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা মর্ডান হাঁস ভাতের রেস্টুরেন্ট অভিযানকালে ভেঙে ফেলা হলেও কয়েক দিনের মাথায় বোঝার উপায় নেই এখানে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। নতুন করে হোটেলের দোকান তৈরির পাশাপাশি টাঙানো হয়েছে দোকানের নতুন সাইনবোর্ড। রেস্টুরেন্টের মালিক আতিকুর রহমানকে পাওয়া না গেলেও দোকানের এক কর্মচারী জানান, প্রতি বছর অভিযানে হোটেল ভেঙে দেয়া হয়। ভাঙার পরপর আবারও বাঁশপালা ও টিন দিয়ে দোকান প্রস্তুত করেন তার মালিক। এটা এখানকার স্বাভাবিক বিষয় বলে জানান তিনি। নাসির হোসেন নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সড়কের জায়গায় উচ্ছেদ-দখল খেলা চলছে। উচ্ছেদ করার পরপরই আবার দখল হয়ে যায়। এসব করে লাভ কি? মাঝপথ দিয়ে প্রতিবছর সরকারের টাকা অপচয় হয়। সওজ কর্তৃপক্ষ দখলদারদের সাথে চোর-পুলিশ খেলা খেলে। এর কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমদ বলেন, আমরা বহু বছর ধরে দেখে আসছি সড়কে উচ্ছেদ অভিযান হয়। এতে কাজের কাজ হচ্ছে না। সড়ক দখলমুক্ত করা হলেও তার দেখভাল বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। তাছাড়া যারা দখলদার ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা না করে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়। কোনো উপায় না থাকায় আবারও সড়কে আসেন ব্যবসায়ীরা। ফের দখল হওয়ার ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সম্প্রতি সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে যেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আমরা দেখছি আবারও তা দখল করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। তারা নিয়ম-কানুন মানতে চায় না। আবারও উচ্ছেদ অভিযান করতে হবে। সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযানের নামে সরকারি টাকা অপচয় হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, করার কিছু নাই। না হলে সড়কে অফিস করতে হবে। মাইক দিয়ে সারাক্ষণ মানুষকে নিষেধ করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স